ভারতীয় স্টক মার্কেট কিছু মাস ধরে বেশ টালমাটাল ছিল, তবে এখন ধীরে ধীরে সবুজে ফিরছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা (FIIs) অবশেষে আবার কেনাকাটায় ফিরছে, যা বাজারের জন্য ভালো খবর। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় নানা ইকোনমিক ফ্যাক্টর এই রিবাউন্ডে ভূমিকা রাখছে।
🔥 📌 মূল হাইলাইটস:
✅ 1. বিদেশি বিনিয়োগকারীরা (FII) আবার বাজারে ফিরেছে
অনেকদিন পর FII ইনফ্লো পজিটিভ হয়েছে।
এটা লার্জ-ক্যাপ স্টকগুলোর জন্য বড় বুস্ট।
💰 2. মার্কিন মন্দার সম্ভাবনা বাড়ছে, কমতে পারে সুদের হার
ট্রাম্পের নতুন ট্যারিফ, ইমিগ্রেশন কড়াকড়ি, সরকারি ব্যয় কমানোর সিদ্ধান্তে মার্কিন অর্থনীতি চাপে পড়েছে।
Atlanta Fed-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, Q1 GDP 2.8% সংকুচিত হতে পারে, আর মন্দার সম্ভাবনা 42%!
যদি মন্দা আসে, তাহলে Fed দ্রুত সুদের হার কমাবে, যা ভারতীয় বাজারের জন্য ইতিবাচক।
📉 3. মার্কিন 10-সালার বন্ড ইয়িল্ড কমছে, ভারতের লাভ
ট্রাম্প প্রশাসনের মূল লক্ষ্য মার্কিনিদের জন্য ঋণের খরচ কমানো।
10-সালার বন্ড ইয়িল্ড কমার মানে ডলারের দুর্বলতা, যা ভারতীয় বাজারের জন্য সুবিধাজনক।
সুদের হার কমলে বৈশ্বিক বিনিয়োগ ভারতমুখী হবে।
💵 4. ডলার দুর্বল হলে RBI-র রেট কাট সহজ হবে
ডলার ইনডেক্স পড়ছে, যার মানে RBI বিনা দ্বিধায় সুদের হার কমাতে পারবে।
খাদ্য ও কমোডিটি ইনফ্লেশন কম থাকায় আরও মনিটারি স্টিমুলাস দেওয়া সম্ভব হবে।
🏦 5. RBI-র লিকুইডিটি মেজারস বাজারকে সাপোর্ট দেবে
RBI ইতিমধ্যেই সুদের হার কমানো শুরু করেছে।
রুপি-ডলার সোয়াপ, OMO (Open Market Operations) সহ নানা লিকুইডিটি মেজার বাজারকে সাপোর্ট দেবে।
ঋণ সহজলভ্য হলে কনজাম্পশন বাড়বে, যা বাজারের জন্য পজিটিভ।
🇮🇳 6. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও দেশীয় লিকুইডিটি সাপোর্ট
ভারতের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগকারীদের সাপোর্ট বাজারকে শক্তি দিচ্ছে।
FIIs-এর ইনফ্লো গুরুত্বপূর্ণ হলেও দেশীয় বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ বাজারকে শক্তিশালী রাখছে।
📊 7. বাজারের ভ্যালুয়েশন ঠিক পথে, Nifty 24K ছুঁতে পারে!
বাজারের সাম্প্রতিক সংশোধনে লার্জ-ক্যাপ স্টকগুলোর ভ্যালুয়েশন এখন অনেক বেশি যৌক্তিক।
২০২৫ সালের মধ্যে Nifty 24,000 পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও মাঝে মাঝে কারেকশন আসতে পারে।
স্মল ও মিড-ক্যাপ স্টকগুলোর রিস্ক এখনো বেশি।
🚀 8. পোর্টফোলিও স্ট্রাকচারিংয়ের সেরা সময়!
পোস্ট-COVID বুমে অনেক বিনিয়োগকারী দুর্বল কোম্পানির স্টক কিনেছে।
এখন দুর্বল স্টক বিক্রি করে, ভালো স্টকে ইনভেস্ট করার উপযুক্ত সময়।
📝 📌 কী শেখার আছে?
মার্কেট রিবাউন্ড করলেও রিস্ক এখনো আছে, তাই স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টমেন্ট করা জরুরি।
কম্পানি ও স্টকের ফান্ডামেন্টাল দেখে ইনভেস্ট করুন।
লার্জ-ক্যাপে ফোকাস করুন, স্মল/মিড-ক্যাপে বেশি রিস্ক নেবেন না।
FIIs-এর প্রবাহ ও মার্কিন সুদের হারের দিকেও নজর রাখুন।